থাইল্যান্ডের গুহায় আটকে পড়া চার খুদে ফুটবলার ও কোচকে উদ্ধারের জন্য তৃতীয় দিনের মতো কাজ শুরু করেছে উদ্ধারকারী ডুবুরি দল। এটাই শেষ আর চূড়ান্ত উদ্ধার অভিযান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সিএনএনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় গুহায় প্রবেশ করেন ডুবুরিরা। এ পর্যন্ত এটাই হবে ধারণার সবচেয়ে কঠিন ধাপ বলে জানা গেছে।
উদ্ধার অভিযানের প্রধান নারংসাক ওসোটানাকোরন গতকাল সোমবার রাতে জানান, এই অভিযানের সার্বিক প্রস্তুতি নিতে অন্তত ২০ ঘণ্টা সময় লাগবে। যদিও আবহাওয়া ও গুহার ভেতর পানির উচ্চতার ওপর নির্ভর করে সময়ের হেরফের হতে পারে। এটি উদ্ধারকারী ডুবুরিদের জন্য এযাবৎ বিশ্বের অন্যতম কঠিন এক অভিযান।
জানা যায়, গত কয়েক দিনের আবহাওয়া তুলনামূলক স্বাভাবিক থাকায় গুহার ভেতর থেকে বেশ অনেক পরিমাণ পানি পাম্প করে নিষ্কাশন করা হয়েছে। যাতে অন্তত হেঁটে বেড়াবার মতো যথেষ্ট জায়গা পায় আটকে পড়া শিশুরা।
ধাঁধার মতোন কঠিন এই গুহার প্রথম এক কিলোমিটারই সবচেয়ে দুর্গম। সামনে অক্সিজেন ট্যাঙ্ক ধরে সরু আর পানিভর্তি গুহার প্রথমাংশে শরীর ভাঁজ করে পার হতে হয় ডুবুরিদের।
এদিকে, এই উদ্ধার অভিযানে অংশ নিতে গুহাপথে যাত্রা করতে সক্ষম ছোট একটি ডুবোজাহাজ (সাবমেরিন) নিয়ে মার্কিন ব্যবসায়ী এলন মাস্ক আজ মঙ্গলবার থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এলন মাস্কের পোস্ট করা এক বার্তায় এ খবর জানা যায়। রকেটের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ দিয়ে বানানো সাবমেরিনটিকে শিশুদের ফুটবল দল ‘ওয়াইল্ড বোর্স’র নামেই নামকরণ করেছেন এলন মাস্ক।
তবে আটকে থাকা বাকি পাঁচজনকে উদ্ধারে এলন মাস্কের এই সাবমেরিন ব্যবহার করা হবে কি না, সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।